আমরা শান্তিতে নেই । আমাদের বুকের উপর ইট-সিমেন্ট-রডের বোঝা বানিয়েছো । সময় ঘুরে এলে তোমরা মিথ্যে উপহাস করছো তার উপর অর্ঘ্য দিয়ে । শুধু একটি দিন, একটি মাসকে ঘিরে এতসব আয়োজন !
জব্বার, রফিক, বরকত, সালাম ----- নাম গুলো উচ্চারনে আমাদের আত্মাকে শুধুই কষ্ট দাও । কখনো কি খোঁজ করেছো আমাদের পরিবারগুলোর হালোত ?
তোমরা কি জানো ! আমরা সর্বক্ষন তোমাদের পানে চেয়ে আছি ? আমাদের স্বপ্ন ছিল শুধু মায়ের মুখের বাণীকে রক্ষা করা নয়। স্বপ্ন ছিল মাকে শৃংখল মুক্ত করে অপ্সরা রূপায়নে বিশ্ব দরবারে হাজির করা । লাখো শহীদের রক্তে মা আজ শৃংখল মুক্ত । এরাও স্বপ্ন দেখেছিল একই ------ কিন্তু মায়ের কপোলে অশনি সংকেতের ছাঁয়া-চিহ্ন এখনো মুছেনি, কাটেনি ।
দিবসানন্তরে কালো মেঘ মায়ের নীলাম্বরে ঘনতর আচ্ছাদন তৈরী করছে । আশা-রবির রোশনীও উঁকি-ঝুকি দিতে চাইলেও ঘন মেঘের কাছে হার মানছে । দালালী, রাজাকার বৃত্তি, রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, চাঁদাবাজী, দলীয়করন, এসব রাহুগ্রাসের কালো অমানিশার মেঘ মাকে ঢেকে ফেলেছে ।
আমাদের আত্মাগুলো তোমাদের আশেপাশে ঘোড়ে-ফিরে । চিৎকার করে বলি, "তোমরা আরেকবার জাগো, মায়ের সম্ভ্রম হুমকীর মুখে, রক্ষা করো” কিন্তু তোমরা নিরব । তোমরা নির্মিলিত আঁখিতেও অন্ধ হয়ে গেছো । মায়ের সকল অবুঝ সন্তানেরা আজও অবরুদ্ধ ।
তোমাদের নিরুত্তোরে, মরেও স্রষ্টার নিকট আমাদের প্রার্থনা, --আমাদের পূনঃর্জন্ম দাও , আবারও রক্ত ঝরিয়ে দেখিয়ে দেই, মাকে কিভাবে রাহু গ্রাস মুক্ত করতে হয়, কিভাবে নবরুপে বিশ্ব দরবারে শ্রেষ্ঠাত্বে নিয়ে আসতে হয় ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল
# এযাবত কালের সেরা ধারনার লেখা এটি । ছন্দ একটু সাজাতে পারলে এটা অনেক ভাল ও বিখ্যাত কবিতা হবে ।=== এই কবিতা আধুনিক----নাকি অতি আধুনিক----সেটা বিচারকদের খেয়ালের ব্যাপার । আপনাকে ধন্যবাদ ।।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon)
আবারও রক্ত ঝরিয়ে দেখিয়ে দেই,
মাকে কিভাবে রাহু গ্রাস মুক্ত করতে হয়,
কিভাবে নবরুপে বিশ্ব দরবারে শ্রেষ্ঠাত্বে নিয়ে আসতে হয় । ......... অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই!
প্রজ্ঞা মৌসুমী
কবিতার স্বর এত কড়াধাচের, লাগলো খুব। এটাই এই কবিতার বিশেষত্ব। বানান, যতিচিহ্ন নিয়েতো বলা হলোই। সেটা ধরবোনা। "কালো মেঘটা" সত্যি অনেক বড় হয়ে গেছে। কিছু চেষ্টা এই যে বললেন 'উঁকি-ঝুকি দিতে চাওয়ার মত।' কিন্তু রক্তই কি স্থায়ী সমাধান?
ইদানিং একটা দল ভালো লাগছে যারা ভাবেন communism মুক্তির পথ। তারপর মনে হয় বিপ্লবের আগুনে কিছু সাফল্য আসেবে, তারপর? এখন ভাবি যে কোন মতবাদের চেয়ে বড় মতবাদ 'ethics'। এটাই প্রয়োজন। প্রতিটা স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক করা হউক, দৈনন্দিন আলাপে আসুক। এথিকসের চর্চা যদি সবাই করি, হয়তো বড় সেই আলোটা ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।